বউ-শাশুড়ির কথা উঠতেই মনে হয় তাদের মধ্যে একটা ঝগড়ার সম্পর্ক। মেয়েরা যেমন ধরে নেন শাশুড়ি মাত্রই খারাপ, তেমনই শাশুড়িরা ভাবেন এবার ছেলে হাতছাড়া হয়েই গেল। সেই সঙ্গে শাশুড়িরা কিন্তু কখনই বউমাকে আপন মেয়ে করে নিতে পারেন না, তেমনই মেয়েরা শ্বশুরবাড়িকে নিজের বাড়ি হিসেবে মেনে নিতে পারেন না।

এছাড়াও বউমাকে নিয়ে অভিযোগ কিন্তু শাশুড়িরা করেই থাকেন। এর পেছনে প্রধান কারণ ভুল বোঝাবুঝি। আর সেই ভুল বোঝাবুঝি একবার হলে কেউ আর তা মিটিয়ে নেবার উদ্যোগ নেন না। যে কারণে প্রথমেই একে অপরকে দোষারোপ না করে ভালো করে বুঝতে হবে। সেই সঙ্গে একটি মেয়ে যখন মা হিসেবে আপনাকে ডাকছে তখন কিন্তু তাকে নিজের মেয়ের মতোই দেখা উচিত। এই সম্পর্ক যেভাবে মধুর হয়ে উঠতে পারে-

বাবার বাড়ি আর শ্বশুরবাড়ির মধ্যে কিছুটা পার্থক্য থাকে, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। বিয়ে হয়ে যাওয়া মানেই কিছুটা হলেও দায়িত্ব বেড়ে যাওয়া।

শ্বশুরবাড়িকে নিজের বাড়ি ভাবতে শিখুন।

বাবার বাড়িতে মাকে যেভাবে সাহায্য করতেন, শাশুড়ি মাকেও সেভাবে সাহায্য করুন।

স্বামীর পরিবারকে আপন করতে পারলে আপনার স্বামীও খুশি হবেন। তাই শাশুড়িসহ সবাইকে আপন করার চেষ্টা করুন।

সবাই সব কিছু পারে না। কিন্তু সাহায্য করার ইচ্ছেটাই বড়। আপনি যতটুকু পারেন শাশুড়ি মাকে সেটুকু সাহায্যই করুন।

শাশুড়ি মায়ের কাছ থেকে কাজ শিখে নেয়ার চেষ্টা করুন।

শাশুড়ি মা কিছু বললেই রেগে যাবেন না। আপনার মা যখন আপনাকে বকা দিতেন তখন ব্যাপারটা যেভাবে নিতেন, এখনও সেভাবেই নিন।

শাশুড়ির সঙ্গে বন্ধুর মতো মেশার চেষ্টা করে তার পছন্দ-অপছন্দ জেনে নিন।

শাশুড়ি মায়ের নামে স্বামীর কাছে নালিশ করবেন না। কারণ সবসময় মনে রাখবেন তিনি আপনার স্বামীর মা। আপনি যেমন আপনার মায়ের নামে নেতিবাচক কিছু শুনতে চাইবেন না, আপনার স্বামীরও নিশ্চয় তার মায়ের বদনাম শুনতে ভালো লাগবে না।

সবার কাছে শাশুড়ির নিন্দা করবেন না। কারণ শাশুড়ি আপনার পরিবারেরই অংশ। অন্যদের কাছে শাশুড়ির নিন্দা করলে আপনার পরিবারকেই সবার কাছে ছোট করা হবে।